২০১৭ সালে বাংলাদেশ ভয়াভয় দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে ভয়াভয় পাহাড় ধ্বস, শুধুমাত্র রাংগামাটিতেই দেড় শতাধিক মানুষের প্রানহানি। হাওড়ে ভয়াভয় বন্যার পর দেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াভয় বন্যা। দেশের সবচেয়ে উচু অঞ্চল দিনাজপুরে এমন ভয়াভয় বন্যা হবে কেউ ভাবে নি। দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে তেমন কোন সাহায্য পৌছায় নি।
সুমন্স ট্যুরিজমের ট্রেকার ট্যুরিস্ট রা এগিয়ে আসলো, যে যে শিক্ষা প্রতিস্টানের সাথে যুক্ত, সেই শিক্ষা প্রতিস্টানগুলোও এগিয়ে আসলো। আমরা সুমন্স ট্যুরিজম ২ মাসের জন্য সমস্ত প্রকার ট্যুর –ট্রেক বন্ধ রেখে মাঠে নেমেছি। দেশের পুরো উত্তরাঞ্চল চষে বেড়িয়েছি, কোথায় কোথায় সাহায্য পৌছায় নি। এগুলো দিনের পর দিন লিস্ট করেছি। আরেকদল তারা নিজেরা এবং বন্ধু বান্ধবদের আমাদের কাজের সাথে যুক্ত করেছে। এভাবে ঢাকা ইউনিভার্সিটি, সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটি, দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর বন্ধুরা আমাদের সাথে যুক্ত হয়।
আমরা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধি নিয়ে সবার উপস্থিতিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সাহায্য পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সুমন্স ট্যুরিজমের কস্টার্জিত অর্থ এবং ট্যুরিস্ট ট্রেকারদের কস্টার্জিত সাহায্য যেনো সঠিক জায়গায় পৌছায়, সেই জণ্য কোন একক জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা কোন ত্রান কার্য পরিচালনা করি নি।
যে যা পারি তাই নিয়ে সবাই এগিয়ে এসেছি দিনাজপুর এর কাঞ্চন কলোনীতে ২ বস্তা কাপড় বিতরন করা হয়েছে।
দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চল বিরল উপজেলার ৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নে আমরা ছোট পরিবারকে ৫ কেজি ও বড় পরিবারকে ১০ কেজি করে ১৬০ পরিবারকে ত্রান সহায়তা দিতে সক্ষম হয়েছি এবং ২ বস্তা কাপড় শতাধিক পরিবারের মাঝে বিতরন করা হয়েছে।
আমরা আদিবাসী, সাঁওতাল, পাহান, মুরিয়ারী, হিন্দু, মুসলমান সবার কাছে সমানভাবে পৌছাতে পেরেছি এবং কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পেরেছি। সবচেয়ে কস্টের জায়গা, সীমিত সামর্থের কারনে অসাম্প্রদায়িক এই গ্রামের অনেক মানুষের কাছে আমরা সাহায্য পৌছাতে পারি নি।
চাইলে সব একদিনে একজায়গায় বসে বিতরন করা যায়। কিন্তু আমরা চাই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে যেনো সাহায্য টা পৌছায়। এইজন্য সুমন্স ট্যুরিজমের একদল তরুন দিনরাত কাজ করেছে ।