উত্তরাঞ্চলের ভয়াভয় বন্যায় প্রায় ৩০ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। আমরা দিনাজপুরে প্রথম দফায় ১৬০ পরিবারের কাছে ত্রান সহায়তা পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। দিনাজপুরের পর ঈদের পর আমরা কুড়িগ্রাম নিয়ে কাজ করেছি।
তখনো মানুষ ভেঙে যাওয়া বাধের উপরে, হাজার হাজার মানুষ ফিরতে পারেনি ঘরে। সবার সর্বাত্মক চেস্টায় আমরা ২০৭ পরিবারের কাছে চাল, শুকনো খাবার, স্যালাইন, ঔষধ সহ খাদ্যসামগ্রী ও প্রায় পাঁচশত পরিবারের কাছে কাপড় পৌছাতে পেরেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আমরা কোন ত্রান সামগ্রী পৌছাই নি, সব নিজ হাতে। এই প্রথম লাভলী আপার দেয়া লিস্ট অনুযায়ী এবং বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নিজে পর্যবেক্ষণ করে আমরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রান সামগ্রী পৌছাতে সক্ষম হয়েছে।
আমরা কথা দিয়েছিলাম, ট্রলারে করে দুর্গম চরাঞ্চলের মাঝের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে পৌছাবো। আমরা পেরেছি। যাদের সাহায্য ছাড়া এই কাজ এতোদূর এগুনো সম্ভব হতো না Zanifar Zinia, Farhana Tisha ও তার বন্ধুরা এবং Pritom Angkush দাদা ও সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটি। আর Al Moktadir Mishu ভাই তো ছিলেন ই।।
আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের রংপুর জিলা স্কুল পরিবারের প্রতি। Moynul Hafiz Lingkon ভাই, Muhammad Zakaria ভাই এবং জিলা স্কুলের ছোটভাইরা সার্বক্ষণিক ছিলো।
Nilav Arpon, Shuvo Roy সহ Sumon’s tourism এর সকল ট্রেকার-ট্যুরিস্ট বন্ধুরা বরাবরের মত পাশে তো ছিলোই।
প্রায় ৩০ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। এবার প্রচুর মানুষ সাহায্য করেছে, এগিয়ে এসেছে। দীর্ঘ সময় কুড়িগ্রামের অনেক থানা কুড়িগ্রাম জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। কিছু এলাকায় খাদ্য সংকট মহামারী আকার ধারন করেছিলো । বন্যা পরবর্তী খাদ্যাভাবে ও অসুখে অনেকের মৃত্যুর খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে আমরা কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এর দিকে গিয়েছি। আমাদের সংগ্রহে ছিলো ৫ বস্তা কাপড়, স্যালাইন, ঔষধ, শুকনো খাবার, মোমবাতি ও কিছু ম্যাচ সহ চাল-ডাল ছিলো।