২০১৭ সালের জুন মাসে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় একটা ভয়াভয় সাম্প্রদায়িক হামলা হয় । এতে লংগদু সদর উপজেলার তিনটি গ্রামের ২৬৭ টি সাধারন মানুষের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। শত শত মানুষের বাড়িঘর থেকে শুরু করে সাংসারিক সবকিছু পুরে ছাই। এই সংকট আমাদের একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
আমরা সুমন্স ট্যুরিজম চিন্তা করেছি, আমরা ঘুরতে আসি এই পাহাড়ে, এই পাহাড়ের বাচ্চাগুলোর জন্য অন্তত কিছু করা যায় কিনা? তারা একটা ধবংশযজ্ঞ দেখেছে, তারা প্রানভয়ে তাদের বাবা মায়ের সাথে পালিয়েছে, অনেকে জংগলে লুকিয়ে দেখেছে কিভাবে মানুষরুপী শকুনেরা তাদের ঘরবাড়ি লুটপাট করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাই সুমন্স ট্যুরিজম চেয়েছে অন্তত লংগদুর শিশুদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায়। সুমন্স ট্যুরিজম তাদের ট্যুর থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং সুমন্স ট্যুরিজমের ফান্ড থেকে অর্থ নিয়ে ২০১৭ সালের ঈদ-উল- ফিতরের লংগদুর শিশুদের পাশে এসে দাড়িয়েছে।
আমাদের সাতে ছিলেন স্থানীয় হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জীবন লাহিরী চাকমা, আমাদের পাহাড়ি বন্ধু চাই থই এবং সুমন্স ট্যুরিজমের প্রতিষ্ঠাকালীন এডমিন রেজাউল করিম সুমন। সুমন্স ট্যুরিজম তার ক্ষুদ্র সামর্থে শিশুদের জন্য সামান্য কিছু অর্থ সাহায্য প্রদান করেছে। শিশুদের সাথে কথা বলেছে, তাদের সাথে খেলেছে, ভয় কাটানোর চেস্টা করেছে।
শুধু তাই নয়, শত শত শিশুর বই-খাতা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। সুমন্স ট্যুরিজম লংগদুর শিশুদের জন্য পরবর্তীতে শিক্ষা খাতে সহযোগীতা অব্যহত রেখেছে।
সুমন্স ট্যুরিজম একটি সামাজিক ট্যুরিজম প্রতিস্টান। আমরা ট্যুরিজমের মাধ্যমে সামাজিক কাজগুলো করে থাকি। সেই লক্ষে সুমন্স ট্যুরিজম ও তার সাথে সংযুক্ত ট্যুরিজম সংশ্লিষ্ট পাহাড়িদের প্রতিষ্ঠান গুলো সবাই সবার লভ্যাংশের একটি অংশ ছেড়ে দেয়। সেটা দিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে সামাজিক কাজগুলো করে থাকি। আবার আমাদের সুমন্স ট্যুরিজমের ট্যুরিস্ট, ট্রেকার, এডমিন , পাহাড়ি প্রতিস্টানগুলো সবাই মিলে দেশের যে কোন সংকটে ঝাপিয়ে পড়ি। ট্যুরিজম হোক গনমানুষের জন্য, সবাই পাশে থাকবেন, সুমন্স ট্যুরিজমের সাথেই থাকবেন। আমাদেরকে জানতে ভিজিট করুন www.sumonstourism.com
Go To Orginal Post==>>>>
।। শিশু সন্ত্রাসীদের সাথে ঈদ আনন্দ ।।সারাজীবন সমালোচনাকে সাথী করে স্রোতের বিপরীতে চলেই জীবনের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলো।…
Posted by Rezaul Karim Sumon on Monday, June 26, 2017